আমেরিকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডেট্রয়েটে শিশু ও গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য বিনামূল্যে রাইডস টু কেয়ার প্রোগ্রাম একাত্তরের অপরাধ প্রমাণিত হলে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির ওরিয়ন টাউনশিপে বিস্ফোরণে কন্ডো ভবন বিধ্বস্ত, নিখোঁজ ২ আজ রাতে মিশিগানে মৌসুমের প্রথম তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রায় ২.৬ মিলিয়ন মিশিগানের বাসিন্দা থ্যাঙ্কসগিভিং ডেতে ভ্রমণ করবেন হাসিনা ইস্যুতে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেন ড. ইউনূস সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২, অধ্যাদেশ জারি মহাখালীতে তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের রেল ও সড়ক অবরোধ ডেট্রয়েটের একটি পরিত্যক্ত স্কুলকে কমিউনিটি সেন্টারে রূপান্তরে পরিকল্পনা  শেখ হাসিনাকে ভারতেই মরতে হবে : পিনাকী ভট্টাচার্য মিশিগান হাউসে দ্বিতীয়বারের মতো বিদ্বেষমূলক অপরাধের কয়েকটি বিল অনুমোদন ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনা অল্প, কিন্তু প্রচার সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত : ড:  মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু, যেতে যেতে অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে :  ড. ইউনূস সাউথফিল্ড ফ্রিওয়েতে দুর্ঘটনায় তরুণী নিহত মনরো কাউন্টিতে ৩টি গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত  শিকাগোতে মিশিগানের নারীর রহস্যজনক মৃত্যু জিএম বিশ্বব্যাপী প্রায় এক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে টাকা-স্বর্ণের সঙ্গে আট মাসের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতেরা স্বাস্থ্যখাতে জালিয়াতি, ওয়েইন কাউন্টির ফার্মাসিস্ট এবং তার ভাই দোষী সাব্যস্ত ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য ভালোভাবে নিচ্ছে না সরকার

কেমন বাংলাদেশ চাই ও কিছু প্রস্তাব

  • আপলোড সময় : ০৯-০৮-২০২৪ ০১:১২:১৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৮-২০২৪ ০১:২২:৩০ অপরাহ্ন
কেমন বাংলাদেশ চাই ও কিছু প্রস্তাব
একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন যা সমতা, ক্ষমতার বিভাজন, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের পরিবর্তে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া থাকা উচিত যা দেশের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়। এ লক্ষ্যে মিশিগানের তিন তরুণ সামাদ চৌধুরী, জাবেদ খান ও নাঈমুুল ইসলাম কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। সুপ্রভাত মিশিগানের হাতে আসা এসব প্রস্তাব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

১. একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
২. প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার সুস্পষ্ট বিভাজন থাকতে হবে।
৩. ৬৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ সংসদ সদস্য হতে পারবেন না।
৪. কোন ব্যক্তি দুইবারের বেশি মন্ত্রী হতে পারবেন না।
৫. একজন ব্যক্তি তিনবারের বেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারবেন না।
৬. ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
৭. সংবিধান, আইন, বিচার, নির্বাচন, শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।
৮. ক্ষমতাসীন অবস্থায় নির্বাচন পরিচালনার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
৯. চারটির বেশি রাজনৈতিক দল জোট গঠন করতে পারবে না।
১০. কোনো রাজনৈতিক দল সংসদে ১৬০টির বেশি আসন রাখতে পারবে না।
১১. দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিতে হবে। রাষ্ট্রপতির পরামর্শ
নিয়ে কাজ করবে।
১২. পুলিশকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে রিপোর্ট করতে হবে, সরকারকে নয়।
১৩. প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটা গ্রুপ থাকে যা উপদেষ্টা কমিটি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া সংসদীয়
স্থায়ী কমিটি আছে, আমরা সেই কমিটির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার প্রস্তাব দিতে পারি।
১৪. প্রতি মন্ত্রীর জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দলের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫. জনগণের প্রত্যাশা ও চাহিদা বোঝার জন্য একটি গবেষণা দল গঠন করতে হবে।
১৬. সরকার টিভি চ্যানেল ও সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
১৭. সংসদীয় কমিটিগুলোকে শক্তিশালী করা: সরকারি কর্মকাণ্ড ও ব্যয় তত্ত্বাবধানে সংসদীয়
কমিটিগুলোর ক্ষমতা ও স্বাধীনতা বৃদ্ধি করা।
১৮. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন: রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত
করতে কমিশনকে শক্তিশালী করা।
১৯. স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন: স্থানীয় সরকারগুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসন ও সংস্থান প্রদান
করে শক্তিশালী করা।
২০. বিচার বিভাগীয় নিয়োগে স্বচ্ছতা: বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বচ্ছ ও যোগ্যতা-ভিত্তিক
প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা।
২১. শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা: সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং
দুর্নীতির সুযোগ কমাতে কঠোর স্বচ্ছতা আইন প্রবর্তন করা।
২২. দুর্নীতির প্রতিবেদন করতে নাগরিকদের উৎসাহিত করার জন্য শক্তিশালী হুইসেলব্লোয়ার
সুরক্ষা আইন প্রবর্তন করা।
২৩. নাগরিক অধিকার সুরক্ষা: নাগরিকদের মতামত প্রকাশ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে
অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য আইনগুলোকে শক্তিশালী করা।
২৪. অনাস্থা ভোট: অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ
করা সহজ করা।
২৫. কার্যনির্বাহী ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রধানমন্ত্রীর কিছু নির্বাহী ক্ষমতা অন্য অফিসে
পুনঃবন্টন করা।
২৬. দ্বৈত কার্যনির্বাহী মডেল: রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের ভূমিকা পৃথক করে আধা-
রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২৭. সুশীল সমাজের ক্ষমতায়ন: সুশীল সমাজকে সমর্থন প্রদান করে সরকারকে জবাবদিহি করতে
সক্ষম করা।
২৮. প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় সাংসদগণকে গণশুনানির ব্যবস্থা করতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ব্র্যাক ব‍্যাংকের ক‍্যারিয়ার টক অনুষ্ঠিত

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ব্র্যাক ব‍্যাংকের ক‍্যারিয়ার টক অনুষ্ঠিত